শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:৩১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ
বরিশালে নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ চার অফিসে চুরি

বরিশালে নির্বাহী অফিসারের দপ্তরসহ চার অফিসে চুরি

dynamic-sidebar

গত আড়াই মাস অতিবাহিত হলেও বরিশালের গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ উপজেলা পরিষদের সরকারি ৪টি দপ্তরে দুর্ধর্ষ চুরির রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপর দিকে তিন নৈশ প্রহরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে নেয়ায় ঘটনায় উপজেলা ও থানা প্রশাসন হুমকির মুখে পড়েছেন ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ একদল চোর গত ৭ এপ্রিল দিবাগত রাতে উপজেলা পরিষদ ভবনের দোতলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্টিফিকেট সহকারীর কক্ষ, উপজেলা এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলীর কার্যালয় ও এলজিইডি অফিসের হিসাব রক্ষণ কক্ষ, পিআইও অফিস, ওই ভবনের নিচতলায় একাউন্টস অফিসের অডিটরদের কক্ষের দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। চোরেরা সরকারি ওই ৪টি অফিসের ৫টি কক্ষের ষ্ট্রীলের আলমিরা ও টেবিলের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে মূল্যাবান কাগজপত্র তছনছ করে। এ সময় চোরেরা ইউএনও অফিসের ১২ হাজার টাকা ও হিসাব রক্ষন অফিসের ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইউএনও অফিসের সার্টিফিকেট সহকারী মোঃ মজিদ খান বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা চোরদের আসামি করে গত ৮ এপ্রিল গৌরনদী মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন।
থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম গত ২ জুন জেলা প্রশাসক বরাবরে এক লিখিত অভিযোগে জানান, চুরির ঘটনার পর থানার ওসি’র নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলজিইডি অফিসের নৈশ প্রহরী হাসানাত হাওলাদার, কৃষি অফিসের মিজানুর রহমান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একেএম শাহীনকে থানায় ডেকে আনা হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার পর একেএম শাহীনের বড় ভাই প্রেসিডেন্ট ও প্রাধন মন্ত্রীর কার্যালয়ের চাকুরি করার সুবাদে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাকে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও চাকুরিচ্যুত করে দেবে বলে হুমকি দেয়। এ ছাড়া গত ২৫ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা চুরির ব্যাপারে ২/১ জন নিরাপত্তা প্রহরী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষন করে রেজুলেশন করেছেন।
ওই মাসিক সভায় উপস্থিত কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ও সরকারি কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা প্রহরীরা অফিসে দায়িত্ব পালন করেন না বিধায় বারবার চুরি সংঘটিত হচ্ছে। ২/১ জন নৈশ প্রহরীর যোগসাজশে উপজেলা পরিষদে ৩/৪ বার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে তারা ধারনা করছেন।
উপজেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ৪টি অফিসে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হওয়ার ২মাস ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুরির রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এ চুরির মাস খানেক আগেও উপজেলা পিআইও অফিসে চুরি সংঘটিত হয়েছিল। এ ঘটনায়ও মামলা হলেও পুলিশ এখনও চুরির রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। ৩টি অফিসের নৈশ প্রহরী চুরির দিন রাতে কর্মরত ছিল। নৈশ প্রহরী কর্মরত থাকা অবস্থায় কি ভাবে চুরি সংঘটিত হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। চুরির পরেও কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরীদের কোন কারণ দর্শনোর নোটিশ করেননি। আমরা চুরির আতঙ্কে অনেকেই বাড়িতে ঈদ করতে যাইনি। দ্রুত চুরির রহস্য উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার একই ভাবে চুরি হয়েছে। একটি চুরির ঘটনারও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরনদী থানার এসআই মো. ইকবাল কবির বলেন, এ মামলায় সন্দীগ্ধ আসামি হিসেবে আন্তঃজেলা চোরদলের এক সদস্যকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। চুরির রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net